সংক্ষিপ্ত বিবরন : রহস্যগল্প আর গোয়েন্দা কাহিনির প্রতি ভীষণ আগ্রহ গুবলুর। সত্যজিৎ রায়ের ফেলুদা থেকে শুরু করে শার্লক হোমসের সব কাণ্ডকীর্তি ওর মুখস্ত। যেখানে রহস্য আছে, গুবলু সেখানে থাকবেই। রহস্যের গন্ধ পেলেই ওর নাকটা কেমন সুচালো হয়ে ওঠে। খাঁড়ার মতো নাকটা বাড়িয়ে দিয়ে খুব সহজেই ঘটনার আগাপাশতলা সব বুঝে ফেলে গুবলু। ওর ক্লাসে আরও আছে একজন, নাম তার সুমন। বয়সের তুলনায় সে একটু বেশিই লম্বা। বন্ধুরা তার নাম দিয়েছে ‘লম্বু সুমন’। আরেক বন্ধু নাবিলের বাড়ি থেকে সহসাই চুরি যায় ওর দাদুর আমলের দেয়ালঘড়িটা। দেড় মণ ওজনের ঘড়ির কাঁটাগুলো খাঁটি গিনি সোনায় তৈরি। ওটা হারিয়ে পরিবারের সবার খুব মন খারাপ। ঘটনা শুনে কাজে নেমে পড়ে গুবলু ও তার বন্ধুরা। দুদিন বাদে পায় একখানা হুমকিনামা। ঘড়িচোর চিরকুট পাঠিয়ে বলে, তফাত যাও, নইলে খবর আছে। বেশি তড়পালে জানে মেরে দেব। ব্যস, বন্ধুরা ভয় পেয়ে লেপমুড়ি দিলেও গুবলু কিন্তু তদন্ত চালিয়ে যায়। নাবিলকে সঙ্গে নিয়ে সে উদ্ধার করে লাখ টাকা মূল্যের দেয়ালঘড়ি। চোরের চেহারা দেখে সকলে অবাক হয়— সে কি! তুমিই তবে চোর!