সংক্ষিপ্ত বিবরন : ভোরবেলা আমরা রওনা দিয়েছি সেন্টমাটিনের উদ্দেশ্যে। নাটোরের পাশে সমুদ্র নিয়ে নাটকটা জমে উঠেছিল। আমার বুদ্ধিতে প্রায় ১০০ বছর আগের ম্যাপটা বের করায় নাটোর নিয়ে নাটকটা থেমে যেতে যেতেও আবার চলা শুরু করেছে। ১০০ বছর আগে বঙ্গোপসাগরে নাটোর নামে একটা দ্বীপ ছিল। সেখানে পাখি নিয়ে কি হয়েছিল সেটা অবশ্য জানি না। কিন্তু পুরো ব্যাপারটার মধ্যে এখন রহস্য আর এ্যাডভেঞ্চারের গন্ধ পাচ্ছি। ইতিমধ্যে সন্ধ্যা হয়ে গেছে। রাস্তার দুপাশ অন্ধকার। তার মধ্যে দু’ একটা ঝিঁঝিঁ পোকা চোখে পড়ছে। পনীর কাকু বললেন, এই বিঝি পোকা একটা অদ্ভুত প্রাণী। আমি পনীর কাকুর দিকে তাকালাম। অন্ধকারে ঝিঝি পোকার গা থেকে রূপালি রঙের আলো বের হয়। এর মধ্যে অদ্ভুত কি পেলে তুমি? মাইক্রোবাসের ভেতরে যদিও অন্ধকার, তারপরও ছোটকাকু বেশ বুঝতে পারলেন পনীর কাকুর কথাটা আমার খুব একটা পছন্দ হয়নি। সেজন্যে ছোটকাকু বললেন, ঝিঝি পোকা কিন্তু কান দিয়ে শব্দ শোনে না। হাটু দিয়ে শব্দ শোনে। তথ্যটা আমার কাছে একদমই নতুন। সাপের ব্যাপারে জানি। সাপ শব্দ শোনে না। কিন্তু ঝিঝি পোকা হাটু দিয়ে শব্দ শোনে, এটা আমি কখনোই জানতাম না।