সংক্ষিপ্ত বিবরন : আশার চোখ দুটো ছলছল হয়ে উঠলো। সে নিজেকে অতি কষ্টে সংযত রেখে তাকালো বনহুরের মুখের দিকে। দৃষ্টি বিনিময়ে বিদায় সম্ভাষণ জানালো আশা তাকে। বনহুর উঠে এগিয়ে গেলো প্লেনের সম্মুখভাগে। পাইলটের আসনের পাশে এসে দাঁড়ালো বনহুর। রিভলভার চেপে ধরলো পাইলটের পাঁজরে, চাপাকণ্ঠে বললো, ‘একটুও নড়বে না, তাহলে প্লেনসহ সমুদ্রবক্ষে নিক্ষিপ্ত হবে।’ পাইলট হকচকিয়ে গেলেও সে একেবারে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হলো না, কারণ এমন ধরনের একটা অবস্থার জন্য প্রস্তুত ছিলো সে। তার সহকারী পাইলটগণ বেশ ঘাবড়ে গেলো, তারাও নির্বাক। বিমানচালক এখন রিভলভারের মুখে, কাজেই নিশ্চুপ থাকা ছাড়া কোনো উপায় নেই।