সংক্ষিপ্ত বিবরন : পাঠক মহাশয়ের স্মরণ থাকিতে পারে, আমরা বিধুভূষণ ও নীলকমলকে এক মুদীর দোকানে রাখিয়া অন্যান্য বিষয় বর্ণনা করিতে গিয়াছিলাম। তাহারা সে রাত্রি সেই মুদীর দোকানেই ছিলেন, তাহাও জানেন। পরদিবস প্রত্যুষে গাত্রোখান করিয়া মুদীর দোকান হইতে পুনরায় কলিকাতার পথে চলিলেন। ক্ষণকাল গমন করিয়া উভয়ে এক বৃক্ষমূলে শ্রান্তি দূর করিবার মানসে উপবেশন করিলেন। পূর্বদিবস নীলকমল ক্রমাগতই গান করিয়াছিল। অদ্য নীলকমলের মুখে কথা নাই। যে সর্বদা বকে, তাহাকে চিন্তাকুল দেখিলে তাহার সমভিব্যাহারী লোকের মনে এক প্রকার কষ্ট অনুভূত হয়। বোধ হয় তাহা সকলেই জানেন। বিধুভূষণের মনেও সেই কষ্ট হইতেছিল। কিন্তু কথা কহিতে গেলেই পাছে নীলকমল গান ধরে, এই ভয়ে এত ক্ষণ কথা কন নাই; বৃক্ষমূলে বসিয়া তামাক খাইতে খাইতে বিধুভূষণ জিজ্ঞাসা করিলেন, ‘নীলকমল কি ভাবছ?’