সংক্ষিপ্ত বিবরন : কী গাছ তার নাম জানে না রঞ্জন, গাছের তলাটা দেখিয়ে বলে, চল বসি। সোজা দাঁড়িয়ে পড়ে বিলু, না বসলে ভিজিটার্স রুমে বসবেন। এখানে না ! কেন? জেদী হতে চায় রঞ্জন, এখানেই বসব, অসুবিধা কী? না। আপনাকে মানায় না। বুড়ো হয়ে গেছি ? আপনি আমার অন্যরকম, মনে মনে ভাবে বিলু। ‘আমার’ কথাটার জন্য লজ্জায় রাঙ্গা হয় বিলু। বিলু বিলক্ষণ জানে, এই লোকটার সঙ্গে ওর বিয়ে হবে। স্বামী-স্ত্রী ! একটা শিহরণ বয়ে যায়। কীরকম ভয় মেশান আনন্দ। এর মানে কী? উপন্যাস কি চরিত্রের জার্নির বিবরণ ? চরিত্র কি যেতে চায় একটা কোনখানে ? একটা বিন্দু বিন্দু থেকে কি শুরু হয়েছিল এই যাত্রাপথ ? এটা হতেই পারে না যে, রঞ্জনের মা কখনো ওকে কোলে কাঁখে করেনি, চুকচুক করে সময়ে অসময়ে চুমু খায়নি। কিন্তু মনে পড়ে না, মনে পড়ে না। কেন মনে পড়ে না? এখনো বাড়িটা খুঁজে পেলে কি হত্যাকাণ্ডটা ঠেকানো সম্ভব? কিন্তু রঞ্জনের মতো মঞ্জরও মনে পড়ে না। কিছুতেই ফুটে উঠছে না সম্পূর্ণ বাড়ির ছবিটা। কোন রাস্তায় সে কালো বাড়ি।