গিরিশচন্দ্র ঘোষ
জন্ম : 28th February 1844
— মৃত্যু : 8th February 1912
বই সংখ্যা: 2
বায়োগ্রাফি: তিনি সংগীতস্রষ্টা, নাট্যকার, কবি, ঔপন্যাসিক, নাট্যপরিচালক ছিলেন। বাংলা থিয়েটারের স্বর্ণযুগ মূলত তারই অবদান। ১৮৭২ সালে তিনি প্রথম বাংলা পেশাদার নাট্য কোম্পানি ন্যাশনাল থিয়েটার প্রতিষ্ঠা করেন। ১৮৮৪ সালের ২০ সেপ্টেম্বর স্টার থিয়েটারে মঞ্চস্থ গিরিশচন্দ্রের চৈতন্যলীলা নাটকের অভিনয় দেখতে এসে রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব চৈতন্যচরিত্রে বিনোদিনীর অভিনয় দেখে মুগ্ধ হন এবং তাঁকে আশীর্বাদ করেন। এ ঘটনার প্রভাবে গিরিশচন্দ্রের মনে পরিবর্তন আসে এবং তিনি জীবনের পরবর্তী ভাগে তিনি রামকৃষ্ণ পরমহংসের এক বিশিষ্ট শিষ্য হয়েছিলেন। বাংলায় সর্বাধিক সংখ্যক নাটক রচয়িতা গিরিশচন্দ্র মঞ্চাভিনয়ের প্রথম যুগে অসাধারণ ব্যক্তিত্ব ও অভিনয় প্রতিভাবলে এক জীবন্ত কিংবদন্তিতে পরিণত হন। ১৮৭৭ সালে মেঘনাদবধ কাব্যে রামচন্দ্র ও মেঘনাদ উভয় ভূমিকায় তাঁর অভিনয় দেখে সাধারণী পত্রিকার সম্পাদক অক্ষয়চন্দ্র সরকার তাঁকে ‘বঙ্গের গ্যারিক’ আখ্যায় ভূষিত করেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য নাটকগুলো- রাবণবধ, অভিমন্যুবধ, সীতার বনবাস, লক্ষ্মণ বর্জন, সীতাহরণ, পান্ডবের অজ্ঞাতবাস।