সংক্ষিপ্ত বিবরন : এ দেশের স্বাধীনতা বঙ্গবন্ধু এনে দিয়েছেন। এ দেশের সার্বভৌমত্ব তিনি এনে দিয়েছেন, যা বাঙালি আগে কখনো পায়নি। তিনি আমাদের বঙ্গবন্ধু— যিনি এ দেশের অর্থনৈতিক দর্শন দিয়েছিলেন, যিনি দিয়েছিলেন আমাদের শিক্ষানীতি-কৃষিনীতি—সমবায় দর্শন শিল্পোন্নয়ন ভাবনা—তথ্যপ্রযুক্তির সুদূরপ্রসারী ভাবনা সংস্কৃতি বিকাশের ভাবনা আমাদের দেশের পররাষ্ট্রনীতি এবং রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য সংবিধান ও চারটি মূলনীতি। আমরা দেখেছি, সত্য ও উচিত কথা বলার অভ্যাস থাকায় কারো সামনেই কথা বলতে বঙ্গবন্ধু ভয় পেতেন না। জনসাধারণের অধিকার আদায়, অন্যায়ের প্রতিবাদ, শিক্ষার্থীদের মৌলিক দাবী আদায়ের জন্য তিনি সব সময়ই সোচ্চার হতেন। তিনি নির্যাতিত মানুষের অন্ন-বস্ত্র ও বাসস্থানের পক্ষে কথা বলতেন। গণতন্ত্র, ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠার কথা বলতেন। লড়াই সংগ্রামের নানা পর্যায়ে তিনি কৌশলী বক্তৃতা দিতেন। কখনো নরম সুরে কথা বলতেন, আবার কখনো গর্জে উঠতেন শক্তিশালী কণ্ঠে। তাঁর সকল ভাষণের বিষয়বস্তু বিশ্লেষণ করলে আমরা পাই—তাঁর ভাষণের মধ্যে ছিল দেশের স্বাধিকার, গণতন্ত্র, বাঙালির ন্যায্য অধিকার, অসাম্প্রদায়িকতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, রাজনৈতিক শিষ্টাচার, সমঝোতা ও সহনশীলতা, অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলা, নাগরিকের মৌলিক অধিকার, সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের দায়িত্বপালন, শিক্ষার গুরুত্ব- এ সকল বিষয়। এ ছাড়াও সমাজ, রাষ্ট, সংস্কৃতি, ইতিহাস, মানুষের অধিকার প্রভৃতি বিষয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বতন্ত্র ও প্রজ্ঞাময় নিজস্ব ভাবনা ছিল— যা তিনি তাঁর বক্তৃতায় বিভিন্ন সময়ে প্রকাশ করেছেন।