
সংক্ষিপ্ত বিবরন : উপন্যাসের একটি অংশ, ‘নদীর নাম জলেস্বর। সমুদ্রের বয়সী কন্যা। সকাল-বিকেল দু’কূল ছাপিয়ে জোয়ার আসে। জলেশ্বরের জোয়ার-ভাটা মঙ্গল ফকির ও মন্তু মিস্ত্রি ছাড়া অন্যদের কাছে অদ্ভুত ঠেকে। আড়ালেখায় তো জোয়ার-ভাটা বোঝাই যেত না। অমবশ্যা-পূর্ণিমায় কাটারাজের পানি তুলনামূলক বেড়ে যেত বটে, কিন্তু তাতে নদীর কোনো পরিবর্তন ঘটত না। কাটারাজকে তখন খানিকটা ফোলা-ফাঁপা মনে হতো বটে, কিন্তু শীর্ণতা ঘুচত না মোটেই। অথচ জলেস্বরের এ কী বিচিত্র খেয়াল? সকালে কানায় কানায় পূর্ণ নদী, দুপুরে কুলের দশ-বারো হাত নিচে নেমে যায় পানি। বিকেলে আবার উল্টোসস্রাত শুরু হয়ে ঠিক আগের মতো পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে নদীটা।’