সংক্ষিপ্ত বিবরন : সকালবেলার রোদ খুব তেজি ছিল সেদিন। গভীর কাশবনের ভেতরে রোদ পড়ে তা থেকে ছিটকে উঠছিল দমবন্ধ করা একটা গর্মি ভাব। ল্যাংড়া পা টেনে হাঁটতে হাঁটতে কিরমানের তেল চকচকে শরীরে ফুটে উঠছিল শিশির বিন্দুর মতো ঘাম। ক্ৰমে দরদরিয়ে নামতে থাকে সেই ঘাম। বিকৃত মুখটা গরমে আরও বিকৃত হয়ে গেছে। নাক মুখ দিয়ে বেরুচ্ছিল গরম হাওয়া। হাঁসফাঁস করতে করতে তবুও হাঁটে কিরমান, থেমে থেমে। বহুকাল বাদে এতটা পথ হাঁটছে সে। হাঁটাও যে এত কষ্টের কোন কালে টের পায়নি কিরমান। তবুও হাঁটে। শেষ কষ্টটা তাকে আজ করতে হচ্ছে। তবে নিজের জন্য নয়। জগুর জন্যে। তার অছিলায় যদি জগুর সংসারের মানুষজন পেট ভরে খেতে পায় ক’ বেলা...।