সংক্ষিপ্ত বিবরন : এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে; এদেশ শত্রুমুক্ত হয়েছে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে ত্রিশ লক্ষ শহিদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে। একাত্তরের আগুনঝরা দিনগুলোতে পুরো বাংলাদেশ মৃত্যু-উপত্যকায় পরিণত হয়। দেশজুড়ে তৈরি হওয়া অসংখ্য বধ্যভূমিতে মাটিচাপা দেওয়া হয় লক্ষ লক্ষ শহীদকে। সেই সময় যুদ্ধ, মৃত্যু, স্বাধীনতা একই উজান স্রোতে বয়ে যায়; ছড়িয়ে থাকে বধ্যভূমিতে শহীদের শেষ নিঃশ্বাস স্বাধীনতার বসন্ত বাতাস। এই উপন্যাসে ফুলঝুরি, ফুলতারা এবং সিদ্ধেশ্বরী এই তিনটি গ্রামের শহীদদের কথা তুলে ধরা হয়েছে। ফুলঝুরি গ্রামকে তো পাকিস্তানি সৈন্যরা কসাইখানায় পরিণত করেছিল। ফুলতারার কবলার বিল এবং সিদ্ধেশ্বরীর রাংতার বিল ধারণ করেছিল অসংখ্য শহীদের লাশ। শুধু শহীদ হওয়া নয়, অকালে পৃথিবীর বুক থেকে ঝরে পড়া নয়—পাকিস্তানি সৈন্যদের বিরুদ্ধে এইসব গ্রামের মানুষের প্রতিরোধও মূর্ত হয়ে উঠেছে এ উপন্যাসে। এই মানুষগুলোর দুঃখ-বেদনা আর সংগ্রামের সাথি মুক্তিযোদ্ধা আজমল। তারই মাধ্যমে বিচ্ছিন্ন তিনটি গ্রামের মানুষের সংগ্রামী উপাখ্যানকে একসূত্রে গেঁথেছেন কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন।