সংক্ষিপ্ত বিবরন : অখণ্ড ভারতে জন্ম নূরজাহান সরকারের। বাবার চাকুরী সূত্রে তার শৈশব-কৈশোর কেটেছে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায়। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর তারা পাকিস্তানে চলে আসেন। তার বরের চাকরি হয় রাজশাহীর সারদায় পুলিশ একাডেমিতে। কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের অনুরোধে তিনি তার পশ্চিমবঙ্গে কাটানো জীবন, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার সময়কাল ও পরবর্তী জীবন নিয়ে স্মৃতিগদ্যের গ্রন্থ লিখেছেন। লেখক গ্রন্থের ভূমিকায় লিখেছন- ‘লেখক হুমায়ূন আহমেদ আর আমার কনিষ্ঠ পুত্র মাজহারুল ইসলাম দখিন হাওয়ায় পাশাপাশি ফ্ল্যাটে থাকে। আমি থাকি পুত্রের কাছেই। আর হুমায়ূনের রত্নগর্ভা জননী আয়েশা ফয়েজও বেশির ভাগ সময় থাকেন পুত্রের সঙ্গে। আয়েশা ফয়েজের সঙ্গে আমার বেশ সখ্য। আমরা দুই প্রবীণ নানা বিষয়ে গল্প করি। আমাদের সেই গল্পে মাঝে মাঝে যোগ দেয় হুমায়ূন। প্রচুর কৌতূহল তার। আমার কাছে অনেক কিছু জানতে চায়, বিশেষ করে আমার জীবনের নানা ঘটনা। ডায়মন্ড হারবার আর কলকাতায় আমার শৈশব-কৈশরের দিনগুলিতে যেন তার আগ্রহটা একটু বেশি। আমি তাকে সেসব বলি নিজের মতো করে। হুমায়ূন নিবিষ্ট শ্রোতা, মুগ্ধতা তার চোখে। সে বলে, খুব ইন্টারেস্টিং! আপনি এগুলি লিখে ফেলেন।