সংক্ষিপ্ত বিবরন : বাংলাসাহিত্যে ‘অপরাজেয় কথাশিল্পী’ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। শরৎচন্দ্র পাঠ করেন নি এমন শিক্ষিত বা মোটামুটি লেখাপড়া জানা বাঙালি পাওয়া দুষ্কর। ১৪ বছর বয়সের কেষ্ট, মায়ের মৃত্যুতে একবারে একা হয়ে পড়ে, দুকুলে তার আর আপন বলে কেউ রইলো না। ভিক্ষা করে মায়ের শ্রাদ্ধ শেষে, এক আত্মীয় কেষ্টকে পৌঁছে দেয় সৎ বোন কাদম্বিনীর বাড়ি। এক চাকরকে বিদায় করে, তার পরিবর্তে কেষ্টর আশ্রয় জোটে সেখানে। দুবেলা আহারের বিনিময়ে তাকে মাথা পেতে নিতে হয় সহস্র গালমন্দ, কঠোর পরিশ্রমের কাজ আর অমানবিক নির্যাতন। মা হারা ছোট্ট মন এত কষ্টের বিনিময়েও খোঁজে একটু ভালোবাসা। নিজ বোনের পরিবর্তে এই ভালোবাসাটুকু পায় সে কাদম্বিনীর জা হেমাঙ্গিনীর কাছে। কেষ্টর প্রতি হেমাঙ্গিনীর এই মাতৃস্নেহ, ভালোবাসার কারণে সে নিজেও হয়ে ওঠে সকলের চক্ষুশূল। শেষ পর্যন্ত কি একটু আশ্রয় আর মায়ের মমত্ব জোটে কেষ্টর ভাগ্যে?