সংক্ষিপ্ত বিবরন : শেষ বেলার দিকে মুখ করে চুল আঁচড়াচ্ছিলো শামিমা। লালচে রোদ সারা শরীরে। চোখ নিবিড় হয়ে আছে সামনের উচু বাড়িটায়। দিন দিন ওটা বাড়ছে। কেড়ে নিচ্ছে আশেপাশের নিচু বাড়ির আলো হাওয়া। নিষ্ঠুর কিছুর মতো লাগে। তবু যুতসই বলার মতো যুক্তি নেই। ওটা দিন দিন আরও বাড়বে। পাঁচ থেকে সাত তালাও যদি হয়। কিংবা আরও বেশি। তবু বলার কিছু নেই। আজ বাড়ি ফিরে ওটাকে উপলক্ষ করেই মুখ খুললো রেজোয়ান। হোক স্বগতোক্তির মতো। তবু তো গুমোট ছিঁড়ুক এ ঘরের। বাড়িটার দিকে চোখ রেখে বল্লো, পাড়াটা দিন দিন কলোনীর চেহারা নিচ্ছে। শামিমা ঘাড় ঘুরিয়ে দেখলো। কোন কথা বল্লো না। কিছু বলার জন্যই লাইনটা উচ্চারণ করা। ও পক্ষের সাড়া না পেয়ে একটু ক্ষুণ্ন হলো রেজোয়ান। ডান বুকের কাছে চেপে রাখা বই দুটো টেবিলে রেখে আবার চেষ্টা করলো নীরবতা ভাঙার- বুঝলে শামু, পুরোনো বই-এর দোকানে এই ইতিহাসের বই দুটো পেয়ে গেলাম। গ্ৰীসের। পঞ্চাশ বছরের ওপর বই দুটোর বয়েস। আজকাল এগুলো একেবারেই মেলে না। চেহারাতেও বেশ তরতাজা। যে বিক্রি করেছে।.......