সংক্ষিপ্ত বিবরন : পরীকে ছেলেবেলা থেকেই দেখছে রহমত, বড় ছটফটে স্বভাবের মেয়ে। একটুও স্থিরতা নেই। আঠারো-উনিশ বছর বয়স হলো, তবু স্বভাব থেকে ছেলেমানুষিটা যায়নি পরীর। এখনও পরী যেন এক ঘাসফড়িং। সারাক্ষণ লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ায়। কোথায় কোন বনে-বাদাড়ে ঘুরে বেড়ায় সারাদিন! প্রজাপতি ধরে তাদের পাখার রং মাখে গালে-মুখে। কাঠবিড়ালির পিছুপিছু ছুটে বেড়ায়। কখনও কখনও পুকুরে নেমে জল তোলপাড় করে সাঁতার কাটে। টেনে টেনে গোড়া শুদ্ধ শাপলা ফুল তুলে আনে। এইসব দেখে মেয়েটিকে নিয়ে ভারি একটা দুশ্চিন্তায় পড়ে থাকে রহমত। এই মেয়েকে সে বিয়ে দেবে কেমন করে! এই মেয়ে স্বামীর ঘর করবে কেমন করে!